সুনামগঞ্জ , বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ , ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভূমিকম্পের শঙ্কায় কাগুজে প্রস্তুতি বকেয়া ভাতা পরিশোধসহ ৭ দফা দাবি নিখোঁজ সন্তানের সন্ধান চায় পরিবার টালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা দেন : খন্দকার মোশাররফ শান্তিগঞ্জে নদীর তীর কেটে মাটি বিক্রি : আটক ১, দুই লক্ষ টাকা জরিমানা সংলাপ, সংস্কার ও রাজনৈতিক ঐকমত্য উদ্ধার হয়নি রণভূমির অস্ত্র ঈদের পর ফের উত্তপ্ত হবে রাজনীতির মাঠ স্বস্তির বৃষ্টিতে সতেজ বোরো ধানের চারা, কৃষকের মুখে হাসি পথে যেতে যেতে-পথচারী পুলিশকে পাশ কাটিয়ে দেশ গড়া যাবে না : প্রধান উপদেষ্টা শান্তিগঞ্জে নদী তীরের মাটি কেটে অবাধে বিক্রি খোলা আকাশের নিচে পাঠদান কুরবাননগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান হাওরের শক্তি হিজল গাছ জগন্নাথপুরে মাটিবাহী ট্রাক্টরে রাস্তার সর্বনাশ জামালগঞ্জে পরিত্যক্ত জায়গা থেকে পুলিশের পোশাক উদ্ধার মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ ১০দফা দাবিতে মানববন্ধন দেশের ৭৪ উপজেলাকে দুর্গম ঘোষণা ইসির ঈদের পর দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া

জনবান্ধব পুলিশ চাই

  • আপলোড সময় : ১৮-০৩-২০২৫ ১১:৫৮:২০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৩-২০২৫ ১১:৫৮:২০ অপরাহ্ন
জনবান্ধব পুলিশ চাই
গতকালের (১৮ মার্চ ২০২৫) দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদপ্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘পুলিশকে পাশ কাটিয়ে দেশ গড়া যাবে না : প্রধান উপদেষ্টা’। কথাটি সত্য বটে। অস্বীকার করার কোনও যুক্তি নেই, এমনকি আপাতত নেই কোনও উপায়ও। শ্রেণিহীন সমাজব্যবস্থার পরিসরে পুলিশবিহীন প্রশাসন গড়ে উঠা সম্ভব হলেও হতে পারে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে কোনও দিন। পৃথিবীর ইতিহাসে সে তো এখনও দিল্লি দূরস্থ। কিন্তু বর্তমানে পুলিশবিহীন রাষ্ট্র একবারেই নয় এবং বাংলাদেশে তো নয়ই। সমকালের বাংলাদেশে যে নৈরাজ্যিক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে কার্যকরভাবে না হলেও, যেমন-তেমনভাবে চলনসই রকমে সামাল দিতে হলে অবশ্যই সুশৃঙ্খল, সৎ ও দক্ষ পুলিশ বাহিনীর দরকার, যাকে বলে, কানাডা কিংবা সে রকম উন্নত দেশের মতো জনবান্ধব পুলিশের প্রয়োজন, যারা রাষ্ট্রকে একটি পুলিশি রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলবে। অর্থাৎ যে রাষ্ট্রে পুলিশের তৎপরতার কারণে অপরাধ বলে কীছু থাকবে না। আমাদের এমন পুলিশ চাই, যে শতভাগ আইনের অনুগত হবে। একটি উদাহরণ দিচ্ছি। গল্পের মতো একটি ঘটনা। বরফপড়া ঠান্ডায় জমে যাওয়া মধ্যরাতের লন্ডন শহরের রাস্তায় মদ খেয়ে একেবারেই মাতাল ও পথহারা বিপন্ন তরুণীকে পাঁজাকোলা করে ভ্যানে তোলে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার বিছানায় গরম লেপের নিচে শুইয়ে দিয়ে আসে একজন পুলিশ। লন্ডনের রাস্তায় দায়িত্বরত এমন কর্তব্যপরায়ণ পুলিশ চাই বাংলাদেশের জন্য। যে পুলিশ তরুণীকে বাসায় পৌঁছে দেবার কথা বলে থানায় নিয়ে বলাৎকার করবে না। এমন উদাহরণ আছে : আমাদের দেশের পুলিশ তার অবৈধ আয়ের পথে বাধা সরিয়ে দিতে বন্দুকযুদ্ধের অজুহাতে নিরপরাধীকে খুন করেছে, ঘুষ নিয়ে অপরাধীকে ছেড়ে দিয়ে তার স্থলে নিরপরাধীকে জেলে পুরে দিয়েছে, এজাহারে ছিনতাইকে হারিয়ে যাওয়া ও ডাকাতিকে চুরি লিখে দিয়েছে, কিংবা নিজেই ডাকাতিতে নেমে পড়েছে। ইত্যকার হাজারটা উদাহরণ হাজির করে প্রমাণ করা যায় যে, আমাদের দেশের পুলিশ ইতোমধ্যে দেশে কাঠামোগত সহিংসতা প্রতিষ্ঠার নিয়ামক শক্তি হিসেবে পর্যবসিত হয়েছে। এমনকি আমাদের দেশে পুলিশের হেফাজতে ধর্ষণের ঘটনাও একেবারে বিরল নয়, তারও বীভৎস উদাহরণ আছে। আমরা এমন পুলিশ চাই না। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যেমন বলেছেন, ‘পুলিশই সম্মুখসারির মানুষ। পুলিশ মানে আইন ও শৃঙ্খলা। আর এই আইন ও শৃঙ্খলা না থাকলে যত বড় বড় চিন্তাই হোক, যত টাকাই ঢালুক কোনো কাজে আসবে না।’ আমরা তাঁর এই মতের সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। তবে ‘পুলিশ মানে আইন শৃঙ্খলা’ এই শর্ত পূরণ করতে গেলে দেশের আর্থসামাজিক বিন্যাসকাঠামোটিকে শর্ত পূরণ হওয়ার অনুকুলে অবশ্যই বদলে দিতে হবে। তা না হলে কেবল কথা বলাই সার হবে। সম্পদ আত্মসাতনির্ভর প্রচলিত অর্থনীতিকে বৈষম্যহীন আর্থব্যবস্থায় পর্যবসিত করা না গেলে, পুলিশও তার বর্তমান বিরূপ ভাবমূর্তি পরিহার করতে পারবে না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স